এই প্রথম ভ্যাট চালু করল সৌদি-আমিরাতি সরকার

তেলের দাম পড়ে পাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি কমাতে এই প্রথমবারের মতো মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) চালু করল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

দীর্ঘদিন ধরে করমুক্ত জীবন ধারণের অঙ্গিকার দিয়ে বিদেশি শ্রমিকদের তাদের দেশে কাজ করতে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে সৌদি ও আমিরাতি সরকার। কিন্তু এখন থেকে অধিকাংশ পণ্য ও সেবা নিতে ৫ শতাংশ কর দিতে হবে সৌদি আরবে বসবাসকারী সবাইকে। ১ জানুয়ারি থেকে কর ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ধারণা করছে, ভ্যাট কার্যকরের প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে তারা এ খাত থেকে ১২ বিলিয়ন দিরহাম (৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) রাজস্ব পাবে।

আয়কর চালুর পরিকল্পনা নেই
পেট্রোল, ডিজেল, খাদ্য, পোশাক কেনা, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সেবা গ্রহণের রশিদ এবং হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। কিন্তু চিকিৎসা, আর্থিক সেবা ও গণপরিবহনের সেবাসহ বেশ কিছু খাত ভ্যাটমুক্ত রাখা হচ্ছে।

তেলসম্পদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের বিকল্প উপায় অবলম্বনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।

সৌদি আরবে বাজেটের মোট রাজস্বের ৯০ শতাংশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তেলশিল্প থেকে। তবে উভয় দেশ সম্প্রতি তাদের কোষাগার আরো সতেজ করতে উদ্যোগ নেয়, যার ফলাফল এই ভ্যাট।

ভ্যাট চালু করা হলেও আয়কর প্রবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে দেশ দুটির সরকার। উপসাগরীয় অন্য দেশগুলো- কাতার, বাহরাইন, ওমান ও কুয়েতও ভ্যাট চালু করতে বদ্ধপরিকর। তবে তারা হয়তো ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment